কাকতালীয় ভাবে তাইই ঘটলো। রবিবাসরীয় দুপুরে দেখা গেল যে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিল্লির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। ডেনিম জিন আর হোয়াইট রিব দেওয়া ফ্রেড পেরির নেভি ব্লু পরা টিশার্টে অভিষেক যখন তাঁর গাড়ি থেকে বিমানবন্দরের গেটে নামেন, তখনও দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না।
সাংবাদিকদের কাছে আসতেই দেখা যায়, তাঁর বাম চোখের নীচটা লাল হয়ে রয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অভিষেক জানান, তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডাক্তাররা চার দিন রেস্ট নিতে বলেছিলেন। কিন্তু তাঁদের কথা না শুনেই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। নয়াদিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সদর দফতরে তাঁকে তলব করা হয়েছে। সেখানে হাজিরা দেবেন তিনি।
অভিষেক এদিনও দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ১০ পয়সার দুর্নীতিও প্রমাণ করে দেখাতে পারবে না কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের কথায়, “আমরা মাথা উঁছু করে বেঁচে থাকার লোক। বিরোধী শিবিরের আর পাঁচ জনের মতো নয়। মাথা ঝোঁকাব না।”
বেআইনি কয়লা কাণ্ডের তদন্ত সূত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর আগেও দশ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। তাঁর কথায়, “আমি ইডির এক্তিয়ার নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। ওরা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকেছে। আমি বলেছিলাম, কলকাতায় ইডির অফিস আছে। আমাকে সেখানে ডাকো। দশ বার ডাকলে দশবার যাব।”