ক্যালকাটা টাইম : দুর্গা পুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব।দুর্গাপূজা এখন শুধু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব নয় সকল ধর্মের মানুষের কাছে দুর্গাপুজো হলো আনন্দের উৎসব।বাঙালি তো বটেই বাঙালি ছাড়াও সফল এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকে। কিন্তু এ বছর দুই হাজার কুড়ি বর্তমান পরিস্থিতি করোনা আবহে, দুর্গাপূজা গুলির ছোট হয়ে গেছে।
দেবী পুরানে কুমারী পুজোর সুষ্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে সাধারণত এক বছর থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীকে পুজোর উল্লেখ রয়েছে। ব্রাহ্মণ অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকেও পুজো করার বিধান রয়েছে। বয়স ভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন। শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন, শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর প্রকাশ। কুমারী পুজোর মাধ্যমে নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মাঠে নয় কুমারীকে পুজো করেন। তখন থেকে প্রতি বছর দুর্গাপুজোর অষ্টমী তিথিতে বেলুড় মঠে মাহা ধুমধাম করে এই পুজোর প্রথা চলে আসছে।
সেকালে মুনিঋষিরা কুমারীপুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পুজো করতেন। প্রকৃতি মানে নারী। সেই প্রকৃতিরই আর এক রূপ কুমারীদের মধ্যে দেখতে পেতেন তাঁরা। তাঁরা বিশ্বাস করতেন মানুষের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বরের অযুত প্রভাব। কারণ মানুষ চৈতন্যযুক্ত। আর যাঁদের সৎ মন কলুষতামুক্ত, তাঁদের মধ্যে আবার ঈশ্বরের প্রকাশ বেশি। কুমারীদের মধ্যে এই গুণগুলি থাকে মনে করেই তাদের বেছে নেওয়া হয় এই পুজোর দেবী হিসেবে।
ঐতিহ্যশালী বা রাজ বাড়ির যে পুজো গুলিকরা হয়ে থাকে, এছাড়াও এখন বহু দূর্গৎসব কমিটি কুমারী পূজা করে থাকেন। কুমারী পূজার আগে কুমারীকে পায়ে আলতা কপালের টিপ হাতের চুরি, এছাড়াও নতুন বস্ত্র ফুলের মালা ইত্যাদি আবুসালে সাজিয়ে থাকে।মীনাক্ষী দেবী মন্দিরে ও কন্যাকুমারীতেও মহা ধুমধামের সঙ্গে দুর্গাপূজায় করা হয় কুমারী পুজো।কথিত আছে, কুমারীপুজো ছাড়া হোম-যজ্ঞ করেও দুর্গাপুজোর সম্পূর্ণ ফল পাওয়া যায় না।