লোক বিশ্বাস এর মতে আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তিনটি পথ শেষ হলে পৃথিবীর ধরিত্রী মা  ঋতুময়ী হোন। এই সময়টি পালন করা হয় অম্বুবাচী আবার বাংলা প্রবাদে রয়েছে কিসের বার কিসের তৃপ্তি আসরের 7 তারিখ অম্বুবাচী এই দিন থেকে শুরু হয় জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে সূর্য যে যে সময় মিথুন রাশিতে গমন করেছিলেন তার পরবর্তী বারের সেইকালে অম্বুবাচী হয় অর্থাৎ এই সময় ধরিত্রী মা ঋতুমতী হন।

আদি অনন্তকাল ধরে প্রকৃতিতে নারী রূপেই বন্দনা করে এসেছে মানবজাতি তাই প্রকৃতি মায়ের দর্শন হয় এ সময় তবে এর পিছনে রয়েছে যথাযথ বিজ্ঞান ও আসলে বর্ষার নতুন জল ধারায় সিক্ত হয়ে ওঠে প্রকৃতি একটি কৃষি ভিত্তিক অনুষ্ঠান বর্ষার জলে সিক্ত ধরিত্রী সময় ঋতুমতী নারীর উপর দেখানো হয় তাই এই সময় পুজো বন্ধ অর্থাৎ কয়েকদিন পৃথিবীতে কোন করতে নেই অর্থাৎ চাষবাস করতে নেই তাই এক সময় এ দিকে যেমন বন্ধ থাকে পূজার্চনা তেমনি কয়েক দিন বন্ধ থাকে চাষাবাদও । ঋতুস্রাবের পর প্রতিটি নারী যেমন সন্তানধারণে সক্ষম হয়ে ওঠেন তেমনি বর্ষার জল নতুন প্রাণের সৃষ্টি করে ধরিত্রী মা ও সবুজ সবুজ হয়ে ওঠে আমাদের চারপাশ মাঠ-ঘাট ভরে ওঠে ফসলে

তবে শাস্ত্রমতে অনুভূতিতে এই কাজগুলি করতে না করা হয়েছে নিয়ম মেনে চললে জীবন ভরে উঠবে আশীর্বাদে, জীবন থেকে চলে যাবে দুঃসময়ে লোক বিশ্বাস এর মতে এই সময় আগুনে রান্না করা উচিত নয় তাই এই সময় ফল খেয়ে থাকাই ভালো যদি রান্না করা খাবার খেতে হয় তাহলে আমাকে যদি পড়ার আগেই রান্না করে রাখুন জ্যোতিষের মত, প্রথা আছে নাকি এ সময় মন্ত্র ছাড়াই পুজো হয় এই পর্বে কোন মঙ্গলবার কাজ বা বড় কাজে হাত দেওয়া উচিত নয় লোক স্যারের মতো এই সময় বিয়ে অন্নপ্রাশন গৃহপ্রবেশ একদমই করা উচিত নয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here