বিনীতা দাস : এবার রাজ্য সরকারের লক্ষ্য শিল্প ও কর্মসংস্থান জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। সেই দিকেই নজর দেবে সরকার এবং সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আর সেই লক্ষ্যেই বুধবার উত্তরবঙ্গের শিল্পপতি ও বণিক সভাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব এমনটাই জানা গিয়েছে।
এপ্রিলে রাজ্যে রয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন আর তার আগেই রাজ্যের জন্য এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে উত্তরবঙ্গের বাণিজ্যমহল। আগামিকাল সকাল দশটায় ওই বৈঠক বসছে। মুখ্যসচিব ছাড়াও ওই বৈঠকে থাকবেন শিল্পসচিব,খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের সচিব এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব।
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্য শিল্প বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এ নিয়ে নিজে একাধিক বৈঠক করেছেন। এমনকি কিছুদিন আগেই নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার। উত্তরবঙ্গে প্রচুর শিল্পপতি রয়েছেন এবং তাঁদের এই শিল্পবাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। এই অঞ্চলে বেশকিছু শিল্প যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। যেমন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে পর্যটনে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেদিকটা মাথায় রেখে পর্যটন দফতরের সচিবকেও ডাকা হয়েছে ওই বৈঠকে। এছাড়া এই অঞ্চলে শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে আর কোন কোন দিক খতিয়ে দেখা যেতে পারে তা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তরবঙ্গের ৬ জেলার শিল্পের ব্যাপারে একটি বৈঠক রয়েছে যেখানে সমস্ত বণিকসভাগুলিও থাকবে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গে আদিবাসীদের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছরে তাদের জন্য ৫ লাখ ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এমনকি এও জানান, ‘এছাড়াও চা সুন্দরী, অলিচিকি ভাষার উন্নয়ন, রঘুনাথ মুর্মর নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে দিয়েছি’।