কোয়েল বিশ্বাস : সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ৫ হাজার ১০০ জনকে কন্সটেবল পদে নিয়োগ করা হবে। দেউচা প্রকল্প নিয়ে বড়ো ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। জমিদাতাদের পরিবারের একজনকে কন্সটেবল পদে নিয়োগ করা হবে। জুনিয়ার এবং সিনিয়ার কন্সটেবল দুই পদেই লোক নিয়োগ করা হবে। যার যেমন য্যোগতা সেই অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। বিশষত দেউচা পাচামি দেওয়ানগঞ্জ হরিনসিঙা কয়লা খনি প্রকল্পের জমিদাতাদের পরিবার থেকে এই চাকরি পাবে।
৫১০০ শূন্য পদে নিয়োগ –
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ” বীরভূম মহম্মদ বাজার থানা এলাকার দেওয়ানগঞ্জ হরিনসিঙা কোল ব্লক নিয়ে আমরা মন্ত্রী সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রতি জমিদাতা পরিবারের একজনকে চাকরি দেব। কাউকে সিনিয়র কনস্টেবল, কাউকে জুনিয়ার কন্সটেবল করা হবে। কোয়ালিফিকেশন অনুযায়ী করা হবে। ৫১০০ পোস্ট আজ অনুমোদন পেল। ১৩১জন জমি দিতে রাজি হয়েছেন।”
কাজ শুরু হবেই খাসজমিতেই –
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদিও প্রথম পর্যায়ে কাজ আমাদের জমিতেই হবে। যারা জমি দিতে রাজি, তাদেরটাই নেওয়া হবে। তাছাড়া জমি নেওয়া হবে না। আমাদের হাতে ১হাজার একরের মতো জমি আছে। আমাদের জমিতেই আমরা কাজটা শুরু করব। তবে স্থানীয় ছেলেমেয়ের সার্পোট আমাদের দরকার। তাই নতুন নিয়োগ হবে কন্সটেবল যারা জমি দেব যারা জমি দিতে চান তাদের থেকে। যারা জমি দেবে তাদের পাট্টাও দেব। জমির বদলে জমি পাট্টা, ক্ষতিপূরণ সবই থাকবে।”
দেউচাবাসীর আশঙ্কা – প্রাথমিক সরকারি খাসজমিতে কাজ শুরু করলেও এলাকার লোকজন জমি দিতে চাইলে তাও নেবে রাজ্য। তার জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ, ক্ষতিপূরণ , চাকরির কথাও বলা হয়। সম্প্রতি একাধিকবার দেউচা পাচামির প্রকল্প নিয়ে সেখানকার লোকজনের একটা অংশ বেঁকে বসেন । আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কয়লা শিল্প হলে তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। মানুষের শরীরের জন্যও ভয়ঙ্কর হবে। ফলে ভৌগলিক ও সামাজিক পরিবেশ। বদলে যাওয়ার আশঙ্কা করেন তাঁরা।