Calcutta time : বর্তমানে বিভিন্ন রকম সমস্যার যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি হলে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা, এছাড়াও কোভিডের জ্বর আসলে সেক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞরা প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ৪ গ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত না সেইসঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি ডোজ ১ গ্রাম করে। এর থেকে বেশি খেলেই পড়তে পারেন বিষক্রিয়ায়, এমনকি লিভারের সমস্যা দেখা যেতে পারে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ অবশ্যই ডাক্তারের কাছ থেকে নেওয়া উচিত। যারা প্রতিদিন অ্যালকোহল নেন তাদের ক্ষেত্রে ২ গ্রাম ডোজের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত নয়।
কিভাবে খাবেন প্যারাসিটামল ?
প্যারাসিটামল সবসময়ের জন্য চিবিয়ে খাওয়া উচিত। প্যারাসিটামলে অনেকের এলার্জি থাকতে পারে তাই রোগীকে সতর্ক থাকতে হবে এবং খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
যদি, আপনার লিভারের সমস্যা থাকে এবং আপনি প্রতিনিয়ত অ্যালকোহল পান করেন সে ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও যাদের এলার্জি আছে তাদের প্যারাসিটামল খাওয়ার পর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাই ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকা দরকার এবং প্যারাসিটামল খাওয়ার প্রয়োজন হয় তবে আগে সেটা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।
ঠান্ডা লাগা গলাব্যথা জ্বর ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল এর পরামর্শ দেওয়া যায় কারণ এটি নিরাপদ বলেন কিন্তু যারা প্রতিদিন অ্যালকোহল নেন তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার আগে প্রয়োজন।
এই ওষুধ খাওয়ার পর অ্যলকোহল খেলে কি সমস্যা হবে?
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্যারাসিটামল-এর প্রধান উপাদান ইথানল। এই ইথানল অ্যালকোহল এর সাথে বিক্রিয়া করে শরীরের ওপর নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যেমন বমি বমি ভাব মাথা ব্যথা কিংবা পেটের সমস্যা দেখা যেতে পারে। অনেকে অ্যালকোহলের নেশা কাটানোর জন্য প্যারাসিটামল গ্রহণ করেন তাদের অবশ্যই এই অভ্যাসটি ছাড়া খুব দরকার কারণ এটি প্যারাসিটামল এর সাথে বিক্রিয়া করে সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে লিভারের সমস্যা স্নায়ু সমস্যা হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।