Calcutta time : কিউই ফলের নামটি হয়তো অনেকেই শুনে থাকবেন। নামটি ছোট হলেও দেখতে সবেদার মতো। যার বাইরের রং ব্রাউন হলেও ভিতরটা কিন্তু সবুজ। অত্যন্ত সুস্বাদু ফলটি স্বাদের মতোই অসংখ্য উপকারিতা। বর্তমানে ভীষণভাবে এই ফলটি জনপ্রিয়। যেকোনো অনুষ্ঠানেও প্লেটে সাজিয়ে সুন্দর পরিবেশন করা হয় কিউই-র।
একনজরে দেখুন এই কিউই-র গুনাগুন –
১) হার্টকে সুস্থ রাখে –
কিউই-তে ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম থাকে। প্রতিদিন ১টি কিউই হার্টকে অনেকাংশে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রেস রিলিফ করে।
২) হজমে সহায়তা করা –
কিউই-তে অ্যাক্টিনিডিন নামক এনজাইম থাকে যা, প্রোটিন-দ্রবীভূত বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। কিউইতে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে। বর্তমানে হজমের সমস্যা ঘরে ঘরে। তাই এক ফল যদি এ রোগের উপশম করে তবে মন্দ কী।
৩) হাড় ও দাঁত ভালো থাকবে –
কিউই-তে থাকে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, বি-৬, বি-১২, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ, যা শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে ঠিক রাখে এবং হাড় ও দাঁতকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৪) হাঁপানি রোগের চিকিৎসা করতে –
হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিউই ফল খাওয়া উচিত। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কিউই-তে থাকা ভিটামিন-সি হাঁপানি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৫) কিডনির পাথর থেকে মুক্তি পেতে –
কিউই পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফল। যা কিডনিতে পাথর হওয়ার থেকে বাঁচায়। কিডনির একটি সুরক্ষা কবজ হিসেবে কাজ করে কিউই
৬) ডায়াবেটিস রোধ করতে –
কিউই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এক অন্যতম ফল। কারণ, এটি লো গ্লাইসেমিক হওয়ার কারণে সুগার কন্ট্রোল করে। কিউই-তে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার ফলে এটি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে যা, টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাই রোজ ২-৩ টি করে কিউই খান।
এছাড়া জ্বর-সর্দি-কাশির পর স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। কিউই টেস্ট ফিরিয়ে আনতে ভীষণ উপযোগী। একটুকরো কিউই-র উপকারিতা অনেক। একটু দামি তবে প্রতিদিন একটুকরো খেতে পারলে তা অনেক ওষুধের কাজ দেয়।