Calcutta time : মসৃণ, সুন্দর এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিউটি ট্রিটমেন্ট করে থাকেন বেশিরভাগ নারী। তবে, মুখে ব্লিচ ব্যবহার করার একটি সাধারণ ট্রিটমেন্ট বলা যেতে পারে। ঝটপট মুখে গ্লো আনতে ও পরিস্কার ঝকঝকে ত্বকের জন্য মুখে ব্লিচ করেন অনেকে। বিশেষ করে যাঁরা বিয়ে করেন বা অনুষ্ঠানে যান, তারা আগের দিন ব্লিচ করে রাখেন। মুখের ত্বকে কালো দাগ নির্মূল করতেও ব্লিচ ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, মুখে ব্লিচ করার ফলে মুখের মধ্যে অবাঞ্ছিত লোমও ঢেকে দেওয়া যায়। কিন্তু ত্বকের জন্য ব্লিচ কতটা উপকারী? জানেন
ত্বককে সুস্থ রাখতে হলে কখনও ব্লিচ ব্যবহার করবেন না। ত্বকে ব্লিচ করার আগে এই সাতটি বিষয়ের কথা জেনে রাখুন, উপকার পাবেন –
১) নিয়মিত ব্লিচ করার ফলে ত্বকের চামড়া পাতলা হয়ে যায়। ক্ষতবিক্ষত ত্বকের অন্যান্য সমস্যাগুলিও দেখা দিতে শুরু করে। ব্লিচ ব্যবহার করার ফলে ত্বকের ক্ষতগুলি নিরাময় করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
২) মুখে ব্লিচ ব্য়বহার করলে ত্বকে জ্বালাভাব অনুভূত হয়। কারণ ব্লিচের মধ্যে সামান্য পরিমাণ পারদ থাকে, তার জেরে জ্বালাভাব অনুভূত হয়। এছাড়া পারদের বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়।
৩) বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে ব্লিচ করার ফলে ডার্মাটাইটিস হতে পারে। এই অবস্থায় ত্বকে চুলকানি দেখা যায়। শুষ্ক হয়ে ত্বকের উপর চামড়া উঠতে শুরু করে।
৪) কিছু কিছু ব্লিচে স্টেরয়েড থাকে। এই জাতী পণ্য নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ব্রণের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে।
৫) ব্লিচ করার পর ত্বকের উপর জ্বালাভাব ও পোড়া দাগ তৈরি হয়। সেই ক্ষতি সারতে ও ত্বকের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগে।
৬) যদি ব্লিচ করেই থাকেন, তাহলে যেদিন ব্লিচিং করছেন সেদিন সূর্যালোকের সংস্পর্শে না আসার চেষ্টা করুন। এটি একটি রাসায়নিক সমৃদ্ধ পণ্য, যা সূর্যালোক বা সূর্যের শক্তিশালী রশ্মির সংস্পর্শে আসার কারণে নেতিবাচক প্রভাব দেখাতে পারে।
৭) ব্লিচ করার পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। তারপরে আবার ময়েশ্চারাইজার লাগান এবং তারপরে সানস্ক্রিন লাগান। আপনার ত্বক হাইড্রেটেড এবং ময়শ্চারাইজড রাখলে তবে ব্লিচিং করলে ত্বকের তেন ক্ষতি হয় না




