Calcutta time : ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসার জন্য আমাদের দেশের জনগণের ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তাই আমাদের ক্যান্সার রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতন হতে হবে।
ক্যান্সার বা টিউমার কেন হয় জেনে নিন –
১) বংশগত/জেনেটিক –
বাবা, মা বা পরিবারের এদের মধ্যে থাকলে তাদের সন্তানদের হতে পারে বা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার।
২) ধূমপান –
বিভিন্ন ধরনের ধরনের ক্যান্সার হয় তার মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার তাদের অন্যতম।
৩) পান, জর্দা সাদা পাতা, গুল ইত্যাদি ওরাল ক্যান্সার বা জিহ্বার ক্যান্সার করে।
৪) রেডিয়েশন –
কোনো জায়গায় রেডিয়েশন দিলে বা সূর্য রশ্মির ত্বকের ক্যান্সার করে থাকে। যেমন চেরনোবিল এবং জাপানের নাগাসাকির পারমাণবিক বিস্ফোরণের অনেক বছর পর এখনো সেখানে অনেকেই ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছে।
৫) পাথর/স্টোন –
যেমন কিডনি, পিত্তথলির পাথর ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
৬) রাসায়নিক বা কেমিক্যাল এজেন্ট –
এনিলিন ডাই মূত্রথলির ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
খাদ্যে ব্যবহৃত ফরমালিন এসিড/পচন রোধ পদার্থ স্টমাক বা পাকস্থলীর ক্যান্সার করে চুলের কলব স্ক্রিন/ত্বকের ক্যান্সার করে।
ক্যান্সারের উপসর্গগুলি দেখুন –
১) অনেক দিন ধরে শরীরের কোনো অংশের ছোট একটি টিউমারের হঠাৎ পরিবর্তন।
২) হঠাৎ করে খাবারের রুচি হচ্ছে না, অল্প খেলেই পেট ভরে যাচ্ছে। ওজন কমে যাচ্ছে, বয়স ৪০ বছরের অধিক সতর্ক হোন পাকস্থলীর ক্যান্সার হতে পারে।
৩) মলদ্বার দিয়ে রক্ত যাচ্ছে, ব্যথা হচ্ছে শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কিংবা মলত্যাগের অভ্যাসের হঠাৎ পরিবর্তন হয়েছে, সতর্ক হোন রেকটাম বা ক্লোন ক্যান্সার হতে পারে।
৪) হঠাৎ গলার শব্দ পরিবর্তন হয়েছে, গলায় বা বগলে চাকা সতর্ক হোন এবং চেকআপ করান।
৫) মহিলাদের বয়সের কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে (মেনুপোজ) নতুন করে আবার ব্লিডিং হচ্ছে সতর্ক হোন। জরায়ুর ক্যান্সার হতে পারে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু জিনিস বন্ধ করতে হবে –
১) অল্প বয়সে বিয়ে
২) অল্প বয়সে সন্তান ধারণ এবং বেশি সন্তান ধারণ।
৩) একাধারে বহুদিন জরায়ু নিরোধক বড়ি খাওয়া বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি।
৪) ৪০ বছর বা অধিক মহিলাদের ব্রেস্ট নিজেদেরই মাঝে মধ্যে পরীক্ষা করতে হবে।