বিনীতা দাস : অধিকাংশ মহিলাই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের শিকার। কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
ঋতুস্রাব চক্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হরমোনের একটি বিশাল বড় ভূমিকা রয়েছে। এই হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য যোগাসন অত্যন্ত জরুরি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব মহিলা প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম বা যোগাসন করেন তাদের মধ্যে অনিয়মিত ঋতুস্রাব সহ অন্যান্য সমস্যাও কমে যায়।

একটি সঠিক ঋতুস্রাব চক্রকে বজায় রাখার ক্ষেত্রে ওজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় কম ওজন বা বেশি ওজনের জন্য এই সমস্যা দেখা যায়। এই ওজনই আবার অন্যান্য মহিলা জনিত রোগের পিছনেও দায়ী। তাই উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন বজায় রাখা খুব জরুরি।
বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঋতুস্রাব জনিত সমস্ত উপসর্গের হাত থেকে রক্ষা করে আদা। অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অত্যধিক পরিমাণে রক্তক্ষরণ, ঋতুস্রাবের সময় হওয়া পেটে ব্যথা, আমাশয় ইত্যাদি উপসর্গকে হ্রাস করতে আদা অত্যন্ত উপকারি। তাই আদা দিয়ে চা খেলে উপকার পেতে পারেন।
ঋতুস্রাব চক্রের নির্দিষ্ট ব্যবধান বজায় রাখতে সহায়তা করে দারুচিনি। এমনকি দারুচিনি ঋতুস্রাবের সময় হওয়া ব্যথা ও অত্যধিক পরিমাণে রক্তক্ষরণকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আবার শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ কম থাকলে অনেক সময় অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়। তাই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা এবং একই সঙ্গে ভিটামিন ডি ঋতুস্রাব চক্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
প্রতিদিন আপেল সাইডার ভিনিগার জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন এবং সাথে আনারসও খান। এই দুটি উপাদান ঋতুস্রাব চক্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ঋতুস্রাবের সময় হওয়া একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।




