Calcutta time : একসময় অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই কাটোয়া শহর থেকে সোজা চলে এসেছিলেন কলকাতায় শ্রুতি দাস। পরবর্তী সময়ে ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকের হাত ধরে পরিচিতি পায় তিনি। এখন ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে ‘নোয়া’র ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তবে না, শ্রুতির এই যাত্রা পথ মোটেও মসৃণ নয়। এই ২১ শতকে দাঁড়িয়েও শ্রুতিকে তাঁর গায়ের রং নিয়ে আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। শুনতে হচ্ছে নেটিজেনদের নানান কটু কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন হেনস্থার ঘটনায় সম্প্রতি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন শ্রুতি।
সংবাদমাধ্যমে শ্রুতি বলেন, ”সবাইকে এটা বুঝতে হবে আমরা public entertainer। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকি শুধুমাত্র মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ তৈরির জন্য। আমরা যে সিরিয়াল বা সিনেমা করছি, তাঁর সঙ্গে মানুষ যাতে আরও বেশি করে সংযোগ স্থাপন করতে পারে, সেটা ভেবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা। তার অর্থ এই নয়, শিল্পীরা সহজলভ্য বস্তু। তাঁদেরকে যা খুশি তাই বলা যায় না। শুধু আমি কেন আরও অনেককেই এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খুশি বলা হয়। আমার মনে হয়, এটার প্রতিবাদ হওয়া দরকার। কেন এতদিন ধরে কেউ পুলিসের দ্বারস্থ হননি! এগুলো তো সাইবার ক্রাইম। আর যেকোনও ক্রাইমের শাস্তি হওয়া উচিত। কলকাতা পুলিসের কাছে আমি অভিযোগ জানিয়েছি, তাঁরা বিষয়টা নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন, এবার দেখা যাক কী হয়…”
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিক হচ্ছে, যেখানে প্রধান চরিত্রের গায়ের রং শ্যামবর্ণ। এটা তো সমাজকে একটা ভালো শিক্ষা দেওয়ার জন্যই। সেখানে শ্রুতিকে ট্রোল হতে হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ”তিয়াসা ফর্সা, তাঁকে কালো করা হয়েছে ধারাবাহিকের প্রয়োজনে। তাই হয়ত ওর উপর সেভাবে আক্রমণ হয় না, আমি তো একটা কালো বস্তু, (নিজেকে কালো বস্তুই বললাম, মানুষ তো এমনই ভাবেন আজকাল) তাই হয়ত আমাকে এধরনের নোংরা আক্রমণের শিকার হতে হয়।